সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমপ্লেক্স ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। শিক্ষক নেতারা বলেন, এ নীতিমালা অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য, অসঙ্গতিপূর্ণ, বৈষম্যমূলক, স্বায়ত্তশাসনপরিপন্থী।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস লিখিত বক্তব্যে বলেন, তথাকথিত অভিন্ন নীতিমালাটি বর্তমানে নির্দেশিকা নাম দিয়ে পাস করানো হয়েছে তা বাকৃবির শিক্ষকরা মেনে নেবে না। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণীত নীতিমালার স্বতন্ত্রতার ওপর কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করা হোক এটা বাকৃবি শিক্ষক সমিতি কখনোই চায় না। প্রয়োজন হলে আমরা আমাদের নিজস্ব নীতিমালায় পরিবর্তন এনে উন্নত শিক্ষার মান নিশ্চিত করব।
বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সহসভপতি অধ্যাপক ড. মো. আসলাম আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান, আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রকিবুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হকসহ বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন অনুষদের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা আরো বলেন, ভবিষ্যতে এ নীতিমালাতেও পরিবর্তন বা আবার নতুন কোনো নীতিমালা প্রবর্তন করা হয় তবে তা প্রত্যাখান করা হবে। আর যদি এ নীতিমালাই চূড়ান্ত করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে আরো কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।