বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো গত বছর বাংলাদেশেও ই-কমার্সের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে বলেই এত দিন জানা গেছে। কিন্তু জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থার (আঙ্কটাড) এক প্রতিবেদনে জানা গেল, ২০২০ সালের বি টু সি (ক্রেতার কাছে সরাসরি বিক্রয়) ই-কমার্স সূচক-২০২০-এ বাংলাদেশ উল্টো পিছিয়েছে। এক-দুই ধাপ নয়, একবারে ১২ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে যেখানে বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ছিল ১০৩, সেখানে ২০২০ সালে র্যাংকিং দাঁড়িয়েছে ১১৫। ২০১৯ সালের তুলনায় সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৮ পয়েন্ট।
মোট চারটি উপসূচকের ভিত্তিতে এই সূচক প্রণয়ন করা হয়েছে। সেগুলো হলো জনসংখ্যার কত অংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, ই-কমার্স সাইটে অ্যাকাউন্টধারীর সংখ্যা, ইন্টারনেট সার্ভারের নির্ভরযোগ্যতা, সরবরাহের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্যতা। তাতে বাংলাদেশের অর্জিত পয়েন্ট ৩৩ দশমিক ৩। এই সূচকের শীর্ষ দেশ সুইজারল্যান্ডের অর্জিত পয়েন্ট ৯৫ দশমিক ৯।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্বের ১৫০ কোটি মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করতেন। ২০১৮ সালের সাপেক্ষে সংখ্যাটা বেড়েছে ৭ শতাংশ। তবে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মানুষের অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা কম।
সার্বিকভাবে ২০১৯ সালে বিশ্বের ২৩ শতাংশ মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করেছেন। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে যেখানে অর্ধেক মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করেন, সেখানে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে সেই সংখ্যাটা মাত্র ২ শতাংশ। নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে সেই সংখ্যাটা ৫ শতাংশ এবং উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে সেটা ১৬ শতাংশ। তবে প্রতিবছর অনলাইনে কেনাকাটা করা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
তবে এই সূচক প্রণয়নে একেক দেশের ক্ষেত্রে একেক বছরের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কত মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করেন বা জনসংখ্যার কত অংশ কেনাকাটা করে থাকে, সেই তথ্যের ভিত্তি ২০১৭ সাল। দেখা যায়, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ অনলাইনে কেনাকাটা করেন এবং মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ।