বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৮তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় যুক্ত হন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সংসদ সদস্য শাহজাহান খান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, ডিএমপি কমিশনারসহ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা এসময় বিআরটিএর কার্যালয় ও ভার্চ্যুয়ালি প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে আইনগত কাঠামো আরো যুগোপযোগী এবং যৌক্তিক করতে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের ইতোমধ্যেই মতামত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, স্বল্প সময়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনগত ভীত মজবুত করা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথমবারের মতো দেশের মহাসড়কে রোড সেফটি অডিট চালু করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য মানুষের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। এ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে মানসম্মত লাইসেন্স দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
সড়ক নিরাপত্তায় ২০১৭ থেকে ২০২০ মেয়াদে একটি ন্যাশনাল রোড সেফটি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছিল, সে পরিকল্পনার মেয়াদ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়নের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন করে ২০২১ থেকে ২০২৪ মেয়াদের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। এটি একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা, তাই স্ট্রাটেজিক অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে সুপারিশ চূড়ান্ত করতেই এই কমিটি করা হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এ কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে খসড়া চূড়ান্ত করে পরবর্তী সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।