নেচার কমিউনিকেশন নামে এক পত্রিকায় এই ক্যান্সারবিরোধী প্রোটিন পি-৫৩ এবং গ্রিন টি-তে উপস্থিত যৌগ উপাদান এপিগ্যালোক্যাটেসিন গ্যালেটের মধ্যে কী রকম সম্পর্ক, সেটা তুলে ধরা হয়েছে। চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীমহল অনুমান করছেন যে ক্যান্সারের ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে এই গবেষণা সহায়ক হতে পারে।
নিউ ইয়র্কের রেন্সেলায়ের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ইন ট্রয়ের তরফ থেকে সহ-গবেষক বলেছেন যে এই প্রোটিন আর গ্রিন টিয়ের উপাদান দুটোই খুব গুরুত্বপূর্ণ। শতকরা ৫০ ভাগ রোগীর শরীরে মিউটেট করা প্রোটিন পাওয়া গিয়েছে। আবার গ্রিন টি-তে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান আছে, যা শরীরের পক্ষে ভালো এবং গোটা বিশ্বের মানুষ এই পানীয় পছন্দ করে। গিন টি ও এই উপাদানের মধ্যে ভালো সম্পর্ক হলে ক্যান্সারবিরোধী ওষুধ তৈরিতে তা পথ দেখাবে।
মানুষের শরীরে এই পি-৫৩-এর ভূমিকা অপরিসীম বলে মনে করছেন গবেষকরা। শরীরে এই প্রোটিন থাকলে ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি থেমে যায়। ডিএনএ যদি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে সেটা ঠিক করাও এই প্রোটিনের একটি কাজ। এই প্রোটিনের শেষের দিকের একটি অংশ অত্যন্ত নমনীয়, যার দরুন এটি নানা কাজ করতে সক্ষম। কিন্তু এই প্রোটিন সৃষ্টি হয়ে অতি দ্রুত ক্ষয়েও যায়, সে ক্ষেত্রে কাজে আসে গ্রিন টি।