অনুমোদন মিললে এটিই হবে দেশের কফির প্রথম জাত। এরই মধ্যে গবেষকরা কফির সংগৃহীত জার্মপ্লাজম থেকে মূল্যায়নের মাধ্যমে রোবাস্তা কফির অগ্রবর্তী লাইন চিহ্নিত করেছেন। একই সঙ্গে জাতসম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের পর সমন্বয় করে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
জানা যায়, নব্বই দশকের শুরু থেকেই খাগড়াছড়ির গবেষণা কেন্দ্রে কফির ৪০টি চারা দিয়ে গবেষণা শুরু হয়। ওই সময় খুব বেশি এগোয়নি গবেষণা। তবে গেল পাঁচ-সাত বছরে কফি চাষের বেশ অগ্রগতি হয়েছে।বিশ্বে ৬০ প্রজাতির কফি থাকলেও বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদযোগ্য প্রজাতি মাত্র দুটি। সেগুলো হলো কফি রোবাস্তা ও কফি অ্যারাবিকা। রোবাস্তা জাতের কফি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় খুব উপযোগী। এটি সাধারণত সমুদ্র থেকে ৫০০-১০০০ মিটার উচ্চতায় এবং ১০০০-২০০০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে ভালো ফলে। সে জন্য বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চল ও টাঙ্গাইলের মধুপুরগড়ের আবহাওয়ায় এটির সম্প্রসারণ সম্ভব।
কফিতে আরো চাঙ্গা হবে পাহাড়ের অর্থনীতি আম্রপালি আর সবুজ মাল্টা পাহাড়ি অর্থনীতিকে আগেই চাঙা করেছে। এই সজীব অর্থনীতিকে আরো গতি দিতে কফিতে সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। আবাদ উপযুক্ত পাহাড়ি মাটি এবং পচনশীল না হওয়ায় কফি চাষে বেশ আশাবাদী তাঁরা।