তৃতীয় ধাপের অনিয়মিত ও নিয়ন্ত্রিত ট্রায়াল বিশ্লেষণ করে প্রাপ্ত ফলাফলে বলা হয়, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান নিরাপদভাবেই তিন মাস পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
এই গবেষণা দলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও ছিলেন। তাদের মতে, যেহেতু ভ্যাকসিনের সরবরাহ প্রাথমিক পর্যায়ে সীমিত পর্যায়ে রয়েছে, তাই ডোজ গ্রহণের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ব্যবধানের এই নিয়মটি মেনে চললে বেশি মানুষ উপকৃত হবে। এর ফলে বিভিন্ন দেশে আরও দ্রুততার সঙ্গে বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যাবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং এই গবেষণা নিবন্ধের অন্যতম লেখক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, ‘ভ্যাকসিনের সরবরাহ এখন সীমিত পর্যায়ে রয়েছে। আর তাই বৃহত্তম জনস্বাস্থ্যের উপকারিতার জন্য কীভাবে ডোজ দেয়া হলে ভাল হবে সেই সিদ্ধান্ত অবশ্যই নীতিনির্ধারকদের নিতে হবে।’
পোলার্ডের মতে, অর্ধেক সংখ্যক মানুষকে দুই ডোজ দেয়ার চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে এক ডোজ করে ভ্যাকসিন দিলে জনগণের একটি বড় অংশ তাৎক্ষনিকভাবে সুরক্ষার আওতায় আসবে। বিশেষ করে যেখানে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের সীমিত সরবরাহ রয়েছে সেসব জায়গায় এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলে ভালো হয়।
তবে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার উপকারের বিষয় জানিয়ে অধ্যাপক পোলার্ড বলেন, ‘ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দীর্ঘ সময়ের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেবে। তাই যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের আমরা দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্যও উৎসাহিত করছি।’