ডেনভার থেকে দুই শতাধিক আরোহী নিয়ে হাওয়াই যাওয়ার পথে শনিবার ইউনাইটেড এয়ারের একটি বোয়িং বিমানের দুই ইঞ্জিনের একটি থেকে আগুন আর ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই নিচে থাকা বাড়িঘরের ওপরে খসে পড়তে থাকে ইঞ্জিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। শেষ পর্যন্ত কোনেও রকমে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায় এর ২৩১ যাত্রী ও ১০ ত্রু।
বিমানটির ভেতরের ক্যামেরায় ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আকাশে উড্ডয়নরত বোয়িং ৭৭৭-২০০–এর ডান পাখায় আগুন জ্বলছে। বের হচ্ছে সাদা ধোঁয়া। এ অবস্থায়ই সবেগ ছুটে চলেছে বিমানটি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ঘটনায় বিমানটির কোনো আরোহী বা নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়া ধ্বংসস্তূপে কেউ হতাহত হননি।
ঘটনার পর একই ধরনের ইঞ্চিন ব্যবহারকারী বোয়িং ৭৭৭ বিমান চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বোয়িং-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা জাপানের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখছে। বোয়িং জানিয়েছে, এই একই ধরনের ইঞ্জিনে বিশ্বে তাদের ৬৯টি বিমান চলাচল করে।
বিমানের ইঞ্জিনে আগুন লাগার পর মৃত্যুক্ষণ গুনতে থাকা যাত্রীদের একজন ডেভিড ডেলুসিয়া। স্থানীয় এক পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলছি– আমি ভেবেছিলাম আমরা কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যাচ্ছি। কেননা বিস্ফোরণের পর বিমানটি ডান কাত হয়ে নিচের দিকে পড়তে থাকে। আমি স্ত্রীর হাত আঁকড়ে ধরি। বলি, পৃথিবীতে এই আমাদের শেষ দেখা।