বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান। তিনি জানান, উপাচার্য কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর সূত্রে জানা যায়, করোনা সংকটে ছুটি ঘোষণার আগে ৩৬টি বিভাগের অনার্স ও মাস্টার্সের পরীক্ষা শেষ হলেও ২৩টি বিভাগের অনার্স, মাস্টার্সসহ বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা অসমাপ্ত থেকে যায়। তবে শিক্ষার্থীরা যাতে সেশনজটে না পড়েন, সেই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত ২১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সভায় ২০১৯ সালের আটকে থাকা অনার্স ও মাস্টার্সের পরীক্ষা ২ জানুয়ারি থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩টি বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছিল। এরমধ্যে রসায়ন, সঙ্গীত, নাট্যকলা, ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স, ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, নৃবিজ্ঞান , হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা, জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স, ফিশারিজ, পদার্থবিজ্ঞান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস, সমাজবিজ্ঞান, মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য, গণিত, চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র এবং গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগেও পরীক্ষা চলছিল বলে জানা গেছে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত হচ্ছে।
অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্তের পর কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন বিভাগে চলমান অনার্স-মাস্টার্সের এবং অনুষ্ঠিতব্য সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা নিতে গেলাম আবার শিক্ষার্থীরাও আসল, পরে আবার পরীক্ষা বন্ধ করতে হলো। এমন অবস্থায় পরীক্ষা নেয়া ঠিক হবে না। তাই যে পরীক্ষা হচ্ছে তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ডিনদের আনুষ্ঠানিক সভায় এটি পাস করা হবে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘সরকার থেকে যে সিদ্ধান্ত এসেছে তা আমরা শতভাগ মেনে চলব। সরকারিভাবে যে সিদ্ধান্ত এসেছে সে অনুসারে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।’