পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ৪০, ৪১ ও ৪২তম বিসিএস পরীক্ষার সময় অনেক আগেই নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব পরীক্ষার আবেদন কার্যক্রম গত বছর শেষ হয়েছে। শিগগিরই পিএসসির ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
তবে জাতির কল্যাণে চলমান ৪৩তম বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম বাড়ানো যেতে পারে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা চাই সকল যোগ্য প্রার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করুক, সে কারণে দ্বিতীয় দফায় ৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সময় কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে প্রয়োজন ভিত্তিক এ সময় আরও বাড়ানো যেতে পারে।
এদিকে সোমবার দুপুরে জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সকল বিসিএসের পরীক্ষা ও আবেদনের সময় নির্ধারণ করা হবে। বর্তমানে চলমান বিসিএসের আবেদনের সময়সীমা বাড়ানোর প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কারো বয়স শেষ হওয়ায় আবেদন করা থেকে বঞ্চিত করা হবে না। যোগ্যরা যেন আবেদন করা থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়টি দেখা হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিসিএস পরীক্ষা ও আবেদনের সময় নির্ধারণ করা হবে। এজন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে সকল বিসিএসের আবেদন ও পরীক্ষার বাড়ানো হতে পারে।
এদিকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকালেও প্রথম ধাপে আগামী ২৪ মে (পবিত্র ঈদুর ফিতরের পর) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল খুলে দেয়া হবে। পরবর্তী ধাপে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।