শীতের সকালে শিশিরভেজা মিষ্টি আলোয় মন কাড়বে সবার। গোলাপ চাষের জন্য এই গ্রামের নাম দেওয়া হয় গোলাপগ্রাম। বারো মাসই এখানে ফুল চাষ হয়। প্রায় ছত্রিশ একর জমিতে বসেছে বিভিন্ন রঙের ফুলের আসর।
গ্রামের ৯০ ভাগ লোকের পেশা গোলাপ চাষ। এখানে মূলত মিরান্ডা প্রজাতির লাল গোলাপের চাষ হয়। পুরো গ্রাম জুড়ে সারা বছরই হয় ফুলের চাষ। লাল গোলাপের পাশাপাশি রয়েছে সাদা গোলাপ, জারবেরা ও গ্ল্যাডিওলাস ফুলের বাগান।গোলাপ ছাড়াও ছয় থেকে সাত রকমের ফুল চাষ হয় এখানে। এর মধ্যে রয়েছে চন্দ্রমল্লিকা, মাম, জারভারা, গ্লাডিওলাস, কেরেন্ডলা, রজনীগন্ধা ও জিপসি।
সারা বছর ফুলের চাষ হয় এখানে। প্রতিদিনই ফুল তোলেন চাষিরা। উৎপাদিত ফুল বাজারজাত হয়ে ছড়িয়ে যায় জেলায়-জেলায়। গোলাপগ্রামে প্রতিদিন ঘুরতে আসেন অনেক মানুষ। মেয়েরা শাড়ি পরে গোলাপের বাগানের আঁকাবাঁকা পথে হেঁটে চলে। হাতে গোলাপ, মাথায় ফুলের মুকুট। এ যেন গোলাপরাজ্যের রানি। ফুল তুলতে ব্যস্ত চাষিরা। পঞ্চাশটি গোলাপ ফুলের আঁটি বিক্রি হয় ২৫০ টাকায়। সবার হাতে লাল গোলাপ। এখানে মুহূর্তের মধ্যে যে কারও মন ভালো হয়ে যাবে। ফুলের মাঝে কিছুক্ষণের জন্য মন হারিয়ে যাবে।
ঢাকার আশপাশে অল্প সময়ের জন্য ঘুরতে চাইলে গোলাপগ্রাম উপযুক্ত জায়গা। মাত্র দেড়শ থেকে দুইশ টাকা যাতায়াত খরচে মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
যেভাবে যাবেন
ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড আসতে হবে। গাবতলী থেকে বাসে সাভার বাসস্ট্যান্ডে এসে নামতে হবে। বাস ভাড়া ২৫ টাকা। বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশা করে সরাসরি গোলাপগ্রামে যাওয়া যায়। দূরত্ব প্রায় ছয় থেকে সাত কিলোমিটার। রিজার্ভ অটোরিকশা ভাড়া একশ টাকা। মাথাপিছু ভাড়া ত্রিশ টাকা।
খাবার
গোলাপগ্রামে চা-বিস্কুট ও নাশতার দোকান আছে। এ ছাড়া ভালো কিছু খেতে চাইলে কাছেই সাদুল্লাপুর বাজার। গোলাপগ্রাম থেকে রিকশাভাড়া মাত্র দশ টাকা। সেখানে খাবার হোটেল ও নাশতার দোকান রয়েছে। নতুবা কেউ চাইলে সাভার এসে ভালো রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন।
সতর্কতা
ফুল ছিঁড়বেন না। ফুলের বাগানে প্রবেশ করবেন না। গ্রামের মানুষ বিরক্ত হয়, এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।