বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামস্ উল ইসলাম অর্থসংবাদকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রচুর টাকা অলস পড়ে আছে। তাই ৭ শতাংশ সুদে ঋণ দিলেও কোনো সমস্যা নেই। এ জন্য ভালো গ্রাহক ধরতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। একজন ভালো গ্রাহক ব্যাংকের ভাবমূর্তির জন্য বড় সম্পদ বলে আমরা মনে করি।’
৭ শতাংশ সুদে ব্যাংকটি যে ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে, তার নাম অগ্রণী রিবেট লোন স্কিম। এই ঋণের উদ্দেশ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাময়িক আর্থিক সমস্যা নিরসনে চলতি মূলধন জোগান। উৎপাদনমুখী সরকারি অগ্রাধিকার ও রপ্তানিমুখী শিল্প এই ঋণ বাড়তি সুবিধা পাবে। ব্যবসায় অভিজ্ঞতা হতে হবে পাঁচ বছর। এই ঋণ শোধ করতে হবে ছয় মাসের মধ্যে।
বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংকের নগদ অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর বাইরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অনেক টাকা বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করা আছে। এসব বিনিয়োগে এখন ৪ শতাংশের বেশি সুদ মিলছে না।
এর আগে গত বছরের এপ্রিল থেকে ব্যাংক ঋণের সুদহার কমিয়ে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে ব্যাংকগুলো সুদহারের এই নির্দেশনা অনুসরণ করছে। কোনো কোনো ব্যাংক সুদহার আরও কমিয়েছে। আর প্রায় ১০ মাস পর এখন রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক ৭ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য নিজেই গ্রাহক খুঁজছে। অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহক নন, এমন ভালো গ্রাহকেরা কম সুদে এই ঋণসুবিধা পাবেন।
চলতি মূলধনের সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত নতুন ঋণ দেবে অগ্রণী ব্যাংক। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন এই ঋণ প্রকল্প চালু করেছে ব্যাংকটি, যা পাওয়া যাবে ব্যাংকের সব শাখায়।
ব্যাংকটি চাইছে, দেশের ভালো শিল্পগোষ্ঠীগুলো এই সুবিধা নিয়ে ব্যাংকটির গ্রাহক হোক। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি দেশের মাঝারি ও ছোট আকারের ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহক হিসেবে টানতে চায়। এ জন্য কারা এই ঋণ পাবে, তার কয়েকটি শর্তও জুড়ে দিয়েছে।
কম সুদের এই ঋণ দিতে ভালো গ্রাহকদের একটি যোগ্যতাও ঠিক করেছে ব্যাংকটি। যেসব গ্রাহকের ঋণ পাঁচ বছরের মধ্যে খেলাপি হয়নি। কোনো ঋণ পুনঃ তফসিল হয়নি ও সুদ মওকুফ সুবিধা নেয়নি। আবার কোনো ডিমান্ড ঋণ সৃষ্ট হয়নি, এমন গ্রাহকেরা এই ঋণ পাবে। গ্রাহককে ঋণ ব্যবহারের ও ঋণ কীভাবে পরিশোধ করা হবে, তা ব্যাংককে জানাতে হবে।