এই অংশীদারিত্বের প্রথম উদ্যোগ হিসাবে, দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে জোরদার করতে এবং বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ২০২১ সালের এপ্রিলে ভার্চুয়াল বাংলাদেশ-ইতালি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে।
এ ছাড়া চুক্তি অনুযায়ী আগামী দিনে বাংলাদেশে আরও বেশি বৈদেশিক বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে দুই সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখবে। এছাড়া বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে বিবিএফ এক দশকেরও অধিক কাল ধরে কাজ করে চলেছে। এ সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে বিডার সাথে বিবিএফ এক সঙ্গে বিভিন্ন দেশে রোড শো, সেমিনার, কনফারেন্স ইত্যাদি আয়োজন করবে ।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় নগরীর আগারগাঁও এলাকার বিডা সদর দফতরে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) তে স্বাক্ষর করেন উভয় পক্ষ।
বিডা’র নির্বাহী সদস্য মো. মোশারফ হোসেন এবং বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এবং বিবিএফ গ্লোবালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাসুদ এ খান নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছেন।
অনুষ্ঠানে বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বিবিএফের নির্বাহী পরিচালক নাহিমা আক্তার এবং বিডা’র ও বিবিএফ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কৃষি, আইসিটি, ইলেকট্রনিক্স, হালকা প্রকৌশল, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, বিদ্যুৎ এবং স্বাস্থ্যসেবাসহ মূল অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলি জুড়ে উচ্চমূল্য, উচ্চ প্রযুক্তি এবং উচ্চ প্রভাব বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রার জন্য দেশে এবং বিদেশে বিবিএফ’র আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বৈদেশিক বিনিয়োগকে আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে কাজ করবে। অংশীদারিত্বের অধীনে, প্রথম ভার্চুয়াল বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশ এবং ইতালির মধ্যে সহযোগিতা সম্ভাবনা প্রদর্শন করবে এবং উদীয়মান কৌশলগত সুযোগগুলো তুলে ধরবে। নীতি নির্ধারক, আমলা, উদ্যোক্তা এবং উভয় দেশের অন্যান্য পেশাদাররা ভার্চুয়াল ইভেন্টে যোগ দেবে।
অনুষ্ঠানে বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার বাংলাদেশের দৃষ্টি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত একটি বিদেশি বিনিয়োগের উপর নির্ভরশীল।
তিনি বলেন, বিডা’র মত বেশ কয়েকটি সরকারী বিনিয়োগ প্রচার সংস্থা এখানে বিনিয়োগ আকর্ষণ ও সহজ করার জন্য কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি বিডা এবং বিবিএফের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহযোগিতা এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু আমরা কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং নতুন সুযোগগুলো অর্জন করার লক্ষ্য নিয়েছি।
বিবিএফ চেয়ারম্যান মাসুদ এ খান বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে আরো ব্যাপক পরিসরে প্রচার করতে হবে যা কিনা বৈদিশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালক করবে । আমরা আমাদের বিবিএফ গ্লোবাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব।
উল্লেখ্য, বিবিএফ এর শক্তিশালী টিম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে যারা বিনিয়োগ আকর্ষণে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে আগ্রহী।