বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ‘সন্ত্রাস নয় সম্প্রীতির ধর্ম ইসলাম’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে সমালোচনা বেড়েছে। গতকালও দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, সব পর্যায়ের নেতাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নতুন করে কোনো সংকটে পড়েছে কি না-জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা কোনো সংকট নয়। একটি জেলার নেতাদের নিয়ে কথা বলা হচ্ছে, একটি রিমোট এলাকায় সমালোচনাগুলো হচ্ছে। এটা পুরো আওয়ামী লীগের কোনো বিষয় নয়। তবে আওয়ামী লীগ যারা করে, যারা নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে আছে, তারা দলীয় ফোরামে কথা বলতে পারবেন, দলের সমালোচনা করতে পারবেন।’
নিজস্ব মত থাকলে সেটি অবশ্যই তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু দলের নীতির বিরুদ্ধে যদি জনসম্মুখে কথা বলা হয়, তাহলে সেটি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়, সেই কথাটিই আমাদের সাধারণ সম্পাদক পুনরোল্লেখ করেছেন। এভাবে যারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে কিংবা করবে তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে, বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ধর্ম ব্যবহার করে অপরাজনীতি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরই শুরু হয়েছিল। সেটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন জিয়াউর রহমান।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজও বিএনপি যে কথাগুলো বলে, চারপাশে জঙ্গি পরিবেষ্টিত হয়ে। বিএনপি এখন কতদলীয় ঐক্যজোট এটা একটা গবেষণার বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গি দমনে যে সক্ষমতা দেখিয়েছে অনেক উন্নত রাষ্ট্রও সেটি দেখাতে পারেনি। আমরা আজ জঙ্গি দমন করতে সক্ষম হয়েছি। আজকে যদি বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা না দিত, পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হত।’
‘সন্ত্রাস নয় সম্প্রীতির ধর্ম ইসলাম’ বই নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু উগ্রবাদী ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসলামকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালায়। আমরা পাকিস্তান আমলে দেখেছি, সে সময় ইসলামের দোহাই দিয়ে অনেক কিছু করা হতো। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলাম রক্ষার জন্য পাকিস্তান রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কাফের আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর জিয়াউর রহমানসহ যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে, তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় এরশাদও ইসলামকে ব্যবহার করেছেন। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এটি হয়। সেই প্রেক্ষাপটে এই বইটি গুরুত্বপূর্ণ।’
অপশক্তির বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণসহ লড়াই করার জন্য এই বই অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেও মনে করেন সরকারের এ মন্ত্রী।