সোমবার (০১ মার্চ) ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে সস্ত্রীক করোনার টিকা নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শারীরিক কোনো সমস্যা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকাল দশটায় নিয়েছি, এখন রাত দশটা বাজে এ পর্যন্ত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। শরীরে কোনো ব্যথা অথবা জ্বরের ভাব নেই।
তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়াটা ভালো লক্ষণ বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যাদের সামান্য জ্বর কিংবা শরীর ব্যথা হয়েছে তাদের ভ্যাকসিনে কাজ করছে বলেই এটা হয়।
সকালে করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর বিকেলে ও সন্ধ্যায় দলের সুবর্ণজয়ন্তীর দুটি বড় অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিএনপির মহাসচিব।
গত ৩০ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরে যান বিএনপি মহাসচিব। ২৫ দিন চিকিৎসা শেষে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন তিনি। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, সেখানে বিদেশিদের করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ নেই। দেশে রেজিস্ট্রেশন করে সুযোগ হলে দেশেই ভ্যাকসিন নেব।
এর আগে করোনার টিকা নেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকসহ বিএনপির একাধিক নেতা।
গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। সেদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।