এর আগে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতের বাইরে এ জরিমানার অংক নির্ধারিত হয়েছিল। এএফপিকে এক বিবৃতিতে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরে সন্তুষ্ট। তাই আমরা বিষয়টিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারি। আর এটিই আমাদের ব্যবহারকারী ও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সবচেয়ে বেশি আগ্রহের জায়গা।
২০১৫ সালে শিকাগোর অ্যাটর্নি জেনারেল জে অ্যাডেসন ফেসবুকের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় দাবি করা হয়েছিল, ২০০৮ সালের ইলিনয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করে ফেসবুক বায়োমেট্রিক ডাটা ও ফেস সংগ্রহ করেছিল। ২০১৮ সালে এটি ক্ল্যাশ অ্যাকশন মামলায় পরিণত হয়। গত বছরের জানুয়ারিতে মামলায় হেরে গিয়ে ফেসবুক ৫৫ কোটি ডলার জরিমানা দিতে সম্মত হয়েছিল। তবে জুলাইয়ে মামলার বিচারক জেমন ডোনাটো এ অর্থকে অপ্রতুল হিসেবে রায় দেন।
বিচারের সময় প্রমাণ হয়েছিল, ফেসবুক ফেস-ট্যাগিং ফিচারের জন্য ব্যবহারকারীদের সম্মতি ছাড়াই মানুষের মুখের ডিজিটাল স্ক্যান বায়োমেট্রিক ডাটা সংরক্ষণ করে ইলিনয় আইন লঙ্ঘন করছে। এরপর ২০১৯ সালে ফেসবুক ফেসিয়াল রিকগনিশন ফিচারকে ঐচ্ছিক করে।
বিচারক ডোনাটো বলেন, এ মীমাংসা একটি মাইলফলক এবং ডিজিটাল গোপনীয়তা নিয়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রাহকদের জন্য বড় জয়। মামলার বাদী প্রত্যেকে অন্তত ৩৫৫ ডলার করে ক্ষতিপূরণ পাবেন। সূত্র এএফপি।