জানা গেছে, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিনের অনুসারী গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় বিভিন্ন রুমের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। কক্ষ ভাঙচুরের জন্য দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করে।
সূত্র জানায়, ছাত্রাবাসে বর্তমানে এমবিবিএস তৃতীয় প্রফেশনাল ও ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন বর্ষের কিছু ছাত্র রয়েছেন। যাঁদের পরীক্ষা নেই তাঁদের সেখানে থাকার অনুমতি নেই।
মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে দোতলার কিছু কক্ষে অতর্কিত ভাঙচুর এবং কক্ষের জিনিসপত্র তছনছ করে কয়েকজন ছাত্র। এরপর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন দুই পক্ষ হকিস্টিক, লাঠিসোঁটা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্রাবাসের ভেতর। এক পক্ষ অপর পক্ষের কক্ষ ভাঙচুর শুরু করে। ভাঙচুর ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আধিপত্য বিস্তারের জন্য ছাত্রলীগের বিবদমান দুটি পক্ষ পরস্পরের কক্ষ তছনছ করেছে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। কোনো অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি।