বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি অর্থসংবাদ’কে বলেন, ‘আমার নাম ব্যবহার করে কোন কুচক্রী মহল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে আব্দুল হামিদ মিয়ার বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছে যেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ আমি কোথাও এমন কোন অভিযোগ দায়ের করিনি। লিখিত অভিযোগে ব্যবহৃত স্বাক্ষর নকল এবং এটি আমার নয়। কোন স্বার্থান্বেষী মহল এ ষড়যন্ত্রমূলক কাজ করেছে।’
তিনি আরও জানান, ‘প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যেই গ্রুপিং রয়েছে, তাদের মধ্য থেকে কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার নাম ব্যবহার করতে পারে। এই ভিত্তিহীন অভিযোগটি আমার নজরে আসলে লিখিতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে জানিয়েছি।’
বিএসইসিতে পাঠানো চিঠিতে সফিকুল ইসলাম মামুন উল্লেখ করেন, ‘প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেডের (পিএলএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল হামিদ মিয়া সম্পর্কে ‘গ্রাহকের টাকা আত্মসাত করেছেন প্রিমিয়ার লিজিংয়ের এমডি’- খবরটি আমার গোচরীভূত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এ এস এম সফিকুল ইসলাম মামুন নামে এক উদ্যোক্তা এ বিষয়ে লিখিতভাবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে অভিযোগ করেছে, যা সম্পূর্ণ অসত্য এবং বানোয়াট। খবরটি মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং এ ধরনের কোন অভিযোগ আমি বিএসইসিতে বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে কখনোই মৌখিক বা লিখিতভাবে করিনি। খবরটিতে যে সব প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তির ঋণের উল্লেখ করা হয়েছে তার সব কয়টি আব্দুল হামিদ মিয়া এ প্রতিষ্ঠানে যোগদানের বহু পূর্বে নিয়ম মাফিক প্রদান করা হয়, যাতে তার কোন রকম সংশ্লিষ্ট থাকার প্রশ্নই আসেনা। কে বা কারা আমার নাম ব্যবহার করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার এবং প্রতিষ্ঠানের, সর্বোপরি আব্দুল হামিদ মিয়ার সুনাম ক্ষুন্ন করার প্রচেষ্টা করেছে, যার আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের এমডি আব্দুল হামিদ মিয়া অর্থসংবাদ’কে বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে কেউ আমার বিষয়ে ভিত্তিহীন এবং ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে অভিযোগ দায়ের করেছে। কারণ অভিযোগকারী হিসেবে যার নাম ব্যবহার করা হয়েছে, তিনি নিজেও এ বিষয়ে জানেন না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এছাড়াও আমি গত ২৮ ফেব্রুয়ারিতে প্রিমিয়ার লিজিং থেকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছি। আমাকে প্রিমিয়ার লিজিং থেকে পরিচালনা পর্ষদ অব্যাহতি দিয়েছে। আমার বিষয়ে এমন কোনো অভিযোগ থাকলেতো পরিচালনা পর্ষদ আমাকে অব্যাহতি দিত না।’