গত মঙ্গলবার কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনার পর বুধবার কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে আদেশ জারি করে প্রশাসন।
আদেশে বলা হয়েছে, যেসব ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাত্রাবাস/ছাত্রীনিবাসে অবস্থান করছেন তাদের সিট ছেড়ে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মে’২০ ও জুলাই’২০ পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্যদের ৪ মার্চের মধ্যে হোস্টেল ত্যাগ করতে হবে। ৫ম বর্ষের ব্লক পোস্টিং এ যারা অধ্যয়নরত রয়েছেন কলেজ একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর বরাবরে মুচলেকা দিয়ে হোস্টেলে অবস্থান করার অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। হোস্টেলে অবস্থানকারী ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার প্রবেশপত্র কিংবা মুচলেকা কলেজ কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখতে চাইলে তা দেখাতে হবে।
পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া পর্যন্ত চমেক ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় মিটিং, মিছিল, সভা, সমাবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আদেশটি ৩ মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে অফিস আদেশে।
এর আগে গত মঙ্গলবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১২টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় লিপ্ত হওয়া দু’গ্রুপের একটি অংশ শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও অপরটি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, বৈশ্বিক মহামারীর কারণে যেহেতু কলেজ বন্ধ তাই একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এবং কলেজ না খোলা পর্যন্ত মিছিল মিটিংসহ সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এসব কর্মকাণ্ড চলবে না।