‘সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে’- প্রক্টরের এমন আশ্বাসে সোমবার (০১ মার্চ) পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা। তবে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
স্থগিত হওয়া পরীক্ষাসমূহের মধ্যে রয়েছে- পদার্থবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষ, বাংলা বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষ, ওশনোগ্রাফি বিভাগের মাস্টার্স ও দ্বিতীয় বর্ষ, পালি বিভাগের এমএ শেষ পর্ব ও তৃতীয় বর্ষের এক বা একাধিক পরীক্ষা।
এছাড়া ব্যবস্থাপনা, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, নৃবিজ্ঞান, আরবি,নাট্যকলা, দর্শন, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, আইন, ইংরেজি, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল, ফার্মেসি, পরিসংখ্যান, রাজনীতি বিজ্ঞান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্যসহ বিভিন্ন বিভাগের এক বা একাধিক বর্ষের পরীক্ষা এ স্থগিতাদেশের আওতায় রয়েছে।
পরীক্ষার ফর্ম পূরণ, ফি প্রদানসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান ছিল এই বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলোতে।চলমান এসব পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছে পরীক্ষা দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘ দিন পর ক্যাম্পাসে এসে নতুন করে মেস/কটেজ, বাসা ভাড়া নিতে হয়েছে তাদের। পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় ক্যাম্পাসে ফেরা ও পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বড় একটা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। হটাৎ করে পরীক্ষার স্থগিতাদেশে সিদ্ধান্তহীনতায়ও ভুগছেন অনেকে। এছাড়া একটি বা দুইটি পরীক্ষা আটকে থাকায় চাকরির পরীক্ষাগুলোতে আবেদন করতে পারছেন না অনেকে। ফলে সামাজিক ও পারিবারিক চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানসিকভাবেও ভেঙ্গে পড়ছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জট মুক্ত বিভাগগুলোতে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দীর্ঘমেয়াদি সেশন জটের। এতে করে একাডেমিক বর্ষে পিছিয়ে পড়ার পাশাপাশি পড়ালেখায় সমন্বয়হীনতারও সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেক ছাত্র-ছাত্রী।
নাট্যকলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী আইরিন জানান, ২০১৮ সালের পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। আর একটা পরীক্ষা বাকী ছিল এর মধ্যেই স্থগিতাদেশ দেয়া হলো। পরীক্ষা স্থগিতের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তো হচ্ছিই, পাশাপাশি সেশন জট আরো দীর্ঘ হচ্ছে। এমতাবস্থায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছি, শিক্ষাজীবন নিয়েও সংশয়ে পড়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, বৃহৎ স্বার্থের দিকে লক্ষ্য রেখে পরীক্ষা স্থগিত করতে হয়েছে আমাদের। শিক্ষার্থীদের সাময়িক ক্ষতি হলেও এটা সকলের জন্য ভালো হবে।