এর আগে ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতি দেয়ার সংসদীয় প্রক্রিয়ার মধ্যেই সেখানে তাণ্ডব চালায় উগ্রবাদীরা। এতে এক পুলিশসহ নিহত হন অন্তত পাঁচজন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওইদিন একটি মিছিলে বক্তব্য রাখছিলেন ট্রাম্প, তার ছেলে, আইনজীবী রুডি ও কংগ্রেসম্যান মো ব্রুকস। পরে সেই মিছিল থেকে ক্যাপিটলে হামলা চালানো হয়।
মামলাকারী কংগ্রেসম্যান সলওয়েল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ট্রাম্প শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে তিনি বার বার তার সমর্থকদের বলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তিনি সমর্থকদের ওয়াশিংটন ডিসিতে নামার আহ্বান জানান।’
তিনি বলেন, ‘আসামিরা সমর্থকদের সংগঠিত করেছেন, প্ররোচিত করেছেন, উত্তেজনা ছড়িয়েছেন। ওই ঘটনায় হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় তারাই দায়ী।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে আবারও হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে স্থগিত করা হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের বৃহস্পতিবারের (০৪ মার্চ) অধিবেশনও।
এর আগে ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের দিন নির্ধারণ হওয়ার আগে ৪ মার্চ মার্কিন সংবিধানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আইনপ্রণেতাদের সতর্ক করে ক্যাপিটল পুলিশ জানায়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একদল উগ্র সমর্থক আগেই প্রচার করেছে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির কারণে হেরে যাওয়া ট্রাম্প ঐতিহাসিক ৪ মার্চ দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন।