শনিবার সকাল ৭টা ৮ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে তিনি শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করেন এবং সেখানে বেশ কিছু সময় কাটান। এরপর ৭টা ৫৬ মিনিটে চলে যান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর পর যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমাবেশে দেয়া ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতাযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা।
তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
ঐতিহাসিক এ দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।