শনিবার (২৭শে ফেব্রুয়ারী) বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তত্ত্বাবধানে কর্মীদের জন্য “ট্রেড-বেজড মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ” শীর্ষক এক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে ব্র্যাক ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্ণর ও বিএফআইইউ'র প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান প্রধান অতিথি হিসাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, আর্থিক সংস্থাগুলির শুদ্ধতা নিশ্চিত করতে বিএফআইইউ ক্রমাগত এই খাতের ঝুঁকি এবং দুর্বলতা সনাক্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ'র জেনারেল ম্যানেজার শওকাতুল আলম। বিএফআইইউ’র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এ.কে.এম. নুরুন্নবী এবং সৈয়দ কামরুল ইসলাম প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ সরকার প্রথম মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০২ জারি করেছিল। পরবর্তীকালে, আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য ২০০৮ ও ২০১২ সালে এই আইনে সংশোধন আনা হয়। ২০১২ সালের সংশোধিত আইনের মূল লক্ষ্য হলো বিভিন্ন দেশে অবৈধ অর্থ স্থানান্তর মোকাবেলা করা।
ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনার জন্য বিএফআইইউ’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন: "ব্যাংকে অনেক ধরণের গ্রাহক থাকে এবং তাদের কেউ কেউ আবার আইনের সুযোগ খুঁজতে থাকে। কিছু গ্রাহকের লেনদেন, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দেখে বোঝারও উপায় থাকেনা যে সেখানে অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে।"
তিনি আরও বলেন, "সরকার এই বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের জন্য অবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং ট্রেড ভিত্তিক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন কার্যকর করেছে। এই আইনটির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব অনেক বেশি"।
তিনি ট্রেড ভিত্তিক অর্থ পাচার প্রতিরোধে ব্র্যাক ব্যাংকের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ, যেমনঃ মূল্য যাচাই, জাহাজ ও কন্টেইনার ট্র্যাকিং, লেনদেনের ইতিহাসের পুনঃনিরীক্ষণ সহ কয়েকটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কথা উল্লেখ করেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ৬০০-এরও অধিক কর্মী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রশিক্ষণে যোগদান করেন। ব্যাংকটির বিভাগ ও ইউনিট প্রধানরা এবং ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কর্মশালায় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।