সোমবার (৮ মার্চ) বিকেল ৩টায় টাঙ্গাইল শহরে বধ্যভূমির পাশে ওয়ালটনের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ধীরে ধীরে ওয়ালটনের পরিধি বাড়ছে। তাদের বিশাল সাফল্য ও অর্জন টাঙ্গাইলবাসীকে সম্মানিত করেছে। ওয়ালটন আমাদের অহঙ্কার।’
প্রধানমন্ত্রীও ওয়ালটনের প্রশংসা করেন জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ালটনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করি। ওয়ালটন নতুন কী নিয়ে এলো তিনি তা নিয়ে আলোচনা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ালটন অনেক বড় হয়েছে। নতুন নতুন শিল্প কারখানা তৈরির মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করছে। তাদের মাধ্যমে বিশাল কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। তাই ওয়ালটনের কাছে প্রত্যাশা- মানবকল্যাণে এমন কিছু কাজ আপনারা করবেন, যাতে চিরদিন মানুষ আপনাদের মনে রাখে।’
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রেজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাঙালি জাতি আমরা। এখনও বীরের বেশে টিকে আছি। শহীদের রক্তে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের নাম অগ্রভাগে। টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণে অংশ নিতে পেরে আমরা গর্বিত।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক।
অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মমতা হেনা লাভলী, ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার কাজী নুসরাত এদীব লুনা, পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর প্রমুখ।