মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার নারীদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের পাশাপাশি তাদের কর্মের স্বীকৃতিতে বিশ্বাসী। বিএনপির শাসনামলে ফাহিমা, পূর্ণিমার মতো হাজারো নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।
তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নারীদের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছিল তা ৭১-এর পাক-হানাদারদের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকার একদিকে নারীর প্রতি লাঞ্ছনাকারীদের বিরুদ্ধে যেমন কঠোর, অপরদিকে নারী উন্নয়নের সব সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিতেও সচেষ্ট।
বিএনপি নেতারা নারী দিবসের কর্মসূচিতে বলছেন, এদেশের নারীরা নাকি অধিকার বঞ্চিত- এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নারীদের সম্মান এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকারের উদ্যোগ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত, যা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি বয়ে আনছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনাবেতনে অধ্যয়নের সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। সরাসরি ভোটে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নারী প্রতিনিধি নির্বাচন হচ্ছে, জাতীয় সংসদে বাড়ানো হয়েছে সংরক্ষিত নারী আসন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে জামানতবিহীন ঋণ দেওয়া হয়েছে। চ্যালেঞ্জিং পেশায় বাড়ছে নারীদের অংশগ্রহণ। সন্তানের পরিচয় ও নিবন্ধনে বাবার পাশাপাশি মায়ের নাম যুক্ত করার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নারীদের দিয়েছেন অনন্য স্বীকৃতি। ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে যত সরকার এসেছে নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনাই প্রমাণ করেছেন তার সরকার নারী বান্ধব সরকার।
তিনি আরও বলেন, এদেশের নারীরা বন্দি নয় বরং শেখ হাসিনা তাদের দেখিয়েছেন সম্ভাবনার মুক্ত আকাশ। তাদের হাতে হাতে এখন বিশ্বজয়ের প্রযুক্তি। ঘরে বসে আয় করছে লাখ লাখ নারী। গৃহকোণ থেকে মোবাইলে প্রতিমুহূর্তে যোগাযোগ করছে দেশ-বিদেশে, নিচ্ছে তথ্যসেবা।
বাস থেকে একজন নারী যাত্রীকে ফেলে দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক। ইতোমধ্যেই বিআরটিএ-কে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও বলেন তিনি।