বুধবার (১০ মার্চ) সকালে শেরেবাংলা নগরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম রেহেনা বেগম (৫০)। তিনি নরসিংদী শীবপুর উপজেলার কুন্দারপাড় গ্রামের জসিম উদ্দিনের স্ত্রী।
নিহত রেহেনার মেয়ে মেঘলা জানান, তার মা বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে তার পেটের টিউমার অপারেশন করানো হয়। এরপর বাড়িতে ছিলেন। তবে তার (মা) বুকে ব্যথা করতো। এজন্য কিছুদিন আগে আবার মাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করান। ওইদিন তার একটি এনজিওগ্রাম করা হয়।
বুধবার (১০ মার্চ) সকালে নরসিংদী থেকে আবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আসে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট নিতে। রিপোর্টে পেয়ে দেখে সবকিছু নরমাল এসেছে তার। এরপরই তারা দুজন হাসপাতালে থেকে বের হন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আরেকটি পরীক্ষার রিপোর্ট আনতে যাওয়ার জন্য। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন তারা।
মেঘলা বলেন, মায়ের হাত ধরেই রাস্তা পার হচ্ছিলাম। তখন একটি বাস খুব দ্রুত গতিতে আসতে থাকে। আমি মায়ের হাত ছেড়ে বাসটিকে আস্তে আসার জন্য সংকেত দিলেও বাস চালক গতি কমাননি। তখন মা আমার হাত থেকে ছাড়া পেয়ে বাসটির সামনে চলে যায়। তখন ওই বাস তাকে জোরে ধাক্কা দেয়। বাসের ধাক্কায় মা ছিটকে পড়ে যায়।
তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী আশিয়ানা আইয়ুবী জানান, আমরা বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন দেখি গাবতলীর দিকে থেকে আসা ওয়েলকাম পরিবহনের বাসটি তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে বেলা দেড়টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শেরে বাংলানগর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সমীর চন্দ্র ভৌমিক জানান, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাস ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে। মৃতদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।