বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহামারির কারণে গত বছর ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে নির্ধারিত পাঠ্যসূচির কার্যক্রম শুরু করা হয়ে ওঠেনি। এ কারণে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিকে পুনর্বিন্যাস করে শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে গত বছরের ন্যায় ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ধারাবাহিকভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অর্জিত শিখন ফল সবলতা বা দুর্বলতা চিহ্নিত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত সময়ে কাজের মাধ্যমে তাদের অর্জিত শিখন ফল মূল্যায়ন করা হবে। পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে কোন সপ্তাহে শিক্ষার্থীর কী মূল্যায়ন করা হবে সে বিবেচনায় অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রতি সপ্তাহ শুরুর দুইদিন আগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজগুলো দেওয়া হবে। সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ শেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে (সরাসরি বা অনলাইনে) নতুন অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করবে।
আগামী ২০ মার্চ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান ও জমা নেয়ার কাজ শুরু করতে হবে। অ্যাসাইনমেন্ট ও নির্ধারিত কাজ ছাড়া কোন ধরণের পরীক্ষা বা বাড়ীর কাজ শিক্ষার্থীদের দেয়া যাবে না। শিক্ষার্থীদের অতি উত্তম, উত্তম, ভালো ও অগ্রগতি প্রয়োজন ইত্যাদির মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্টগুলোর শাব্দিক মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে শিক্ষকদের।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের সবল ও দুর্বল দিকগুলো খাতায় চিহ্নিত করে তা লিপিবিদ্ধ করতে বলা হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড দেখে অ্যাসাইনমেন্ট করতে নিষেধ করেছে অধিদপ্তর। নোট গাইড দেখে অ্যাসাইনমেন্ট করা হলে তা বাতিল করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে আবারও সেই অ্যাসাইনমেন্ট করে জমা দিতে হবে।