বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয়ায় আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘লিভিং ওয়েল উইথ কিডনি ডিজিস’ অর্থাৎ ‘কিডনি রোগে সুস্থ থাকুন’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘কিডনি রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে আশার কথা যে, অনেক কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য। এজন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা ও প্রারম্ভিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা। কিডনি রোগ বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে এবং যা সময়মত চিকিৎসা না করলে পরিবার তথা সমাজের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছে, যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হচ্ছে। কিডনি রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসার বিষয়ে সরকার যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এ বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আমাদের প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগ শনাক্ত করা সম্ভব। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগ ও কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও তাদের গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে কিডনি রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যখাতে রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো- এ আমার প্রত্যাশা। আমি বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২১-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।’