এ বিষয়ে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্বাচনকেন্দ্রিক দুই জোট সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের নেতারা এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে সৈয়দ ফরহাত আনোয়ারকে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানাই। কারণ, নির্বাচনের মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি। এই মুহূর্তে তিনি সরে দাঁড়ালে জটিলতার সৃষ্টি হতো। শেষ পর্যন্ত তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন, দায়িত্ব পালনে সম্মত হয়েছেন।’
বিজিএমইএর ২০২১-২৩ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরিচালক সৈয়দ ফরহাত আনোয়ারকে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়। গত দুই মাস তাঁর নেতৃত্বে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোটার তালিকা, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকাসহ বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হঠাৎ করে গতকাল বুধবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিজিএমইএর সভাপতির কাছে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার। সেখানে তিনি লিখেন, ব্যক্তিগত কারণে তাঁর পক্ষে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব না।
নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট সম্মিলিত পরিষদ ও স্বাধীনতা পরিষদ জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আগামী ৪ এপ্রিল বিজিএমইএর পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনের লড়াইয়ে থাকছে মূলত দুই দল বা জোট। সংগঠনের ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫ পরিচালক পদের বিপরীতে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের ৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সম্মিলিত পরিষদের দলনেতা ফারুক হাসান ও ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এ বি এম সামসুদ্দিন। বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি রুবানা হক ও তাঁর ছেলে নাভিদুল হক ফোরামের হয়ে নির্বাচন করছেন।