লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি জনিয়েছে, নেতানিয়াহুর স্ত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া এবং জর্ডানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি না পাওয়া ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাতিলের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে।
নেতানিয়াহুর এই সফর ছিল বেশ কিছু দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক। এটাই হতো ইতিহাসে প্রথম কোনও ইসরায়েলি সরকারপ্রধান রাষ্ট্রীয় সফরে আমিরাতে পা রাখার ঘটনা।
তাছাড়া, মাত্র ১১ দিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইসরায়েলের জাতীয় নির্বাচন। এমন মুহূর্তে আমিরাত সফরে গিয়ে বিশেষ কোনও ঘোষণা দিতে পারলে তা নেতানিয়াহুর নির্বাচনী প্রচারণায় সহায়ক হতো বলে মনে করা হচ্ছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত গিয়ে আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর। কিছু গণমাধ্যমের দাবি, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও দেখা করতে যেতেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
অ্যাক্সিয়সের খবর অনুসারে, ১০ দিন আগে নেতানিয়াহু নিজেই আবুধাবির যুবরাজের কাছে ফোন করে তার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধ জানান। তবে আমিরাতি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল। তাদের শঙ্কা, এতে ইসরায়েলের নির্বাচনে আমিরাত হস্তক্ষেপ করছে বলে ধারণা ছড়াতে পারে।
তবে নেতানিয়াহু পিছু ছাড়েননি। তিনি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ইয়োসি কোহেনকে আমিরাতে পাঠান এবং তার অনুরোধ না মানা পর্যন্ত চাপ দিতে থাকেন।
সাম্প্রতিক জরিপ অনুসারে, আগামী নির্বাচনে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি জয়ী হতে চলেছে ঠিকই, তবে সংসদে সরকার গঠনের মতো যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না।