বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন ।
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে নারীদের পিছিয়ে রাখা চলবে না বলে মন্তব্য করেন স্পিকার।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সংবিধান রচনা করে নারীর অধিকারের বীজ বপন করেছিলেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে নারীদের অধিকার সুনিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে পলিসি লেভেল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কর্মক্ষেত্র সবখানে নারীরা এগিয়েছে। গত কয়েক দশকে নারী শিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন উচ্চশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। এ জন্য নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ.বি.এম. ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুসরণীয় নাম। দেশের প্রধানমন্ত্রী,স্পিকার ও মন্ত্রী সবকিছুতেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারীরা। নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে তো বটেই, উন্নত অনেক দেশ থেকেও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।’
চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ঘরে-বাইরে, রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে সর্বত্রই নারীর অংশগ্রহণ প্রায় নিশ্চিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের যৌন নিপীড়নমূলক কার্যকলাপ দমনে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার। ভার্চুয়াল সেমিনারের শুরুতে চুয়েটে নারীর অবস্থান বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। পরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২১ উপলক্ষে চুয়েটের শিক্ষার্থীদের নির্মিত অ্যানিমেশন ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।