বুধবার (১০ মার্চ) এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ারহোল্ডারা যাতে নিশ্চিতভাবে আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে পুরস্কৃত হতে পারেন তার জন্যই ডিভিডেন্ড প্রদানের ক্ষেত্রে নয়া এই নীতি আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থার শেয়ারহোল্ডার হিসেবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যেমন ডিভিডেন্ড পেয়ে থাকেন পাশাপাশি একইরকম ভাবে ওইসব সংস্থা থেকে কেন্দ্র ডিভিডেন্ড পায়। যার জন্য চলতি আর্থিক বছরে ইতিমধ্যেই এইসব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি থেকে ডিভিডেন্ড বাবদ ২৮,৩৫৯ কোটি টাকা সরকারের ঘরে এসেছে।
সরকারি বিনিয়োগ সচিব এবং সরকারী সম্পদ পরিচালনা বিভাগের সচিব তুহিন কান্ত পান্ডে এদিন জানিয়েছেন, নতুন ডিভিডেন্ড নীতির উদ্দেশ্য হল এটা দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে একটা ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যায়। যাতে এইসব সংস্থাগুলি তাদের সকল শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিতভাবে লভ্যাংশ বন্টন করতে পারে। যার জন্য এই নয়া নীতিতে বলা হয়েছে লভ্যাংশ বণ্টনের জন্য বছর শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার দরকার নেই। সেক্ষেত্রে কিছু সংস্থা তো প্রতি তিন মাস অন্তর অর্থাৎ বছরে চার বার অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ট দিয়ে দিতেও পারে।
তাছাড়া আগামী দিনে রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থার সম্পত্তি বিক্রির পাশাপাশি সেখান থেকে শেয়ার থেকে আয় বা রিটার্ন অন ইকুইটি এবং মূলধন থেকে আয় বা রিটার্ন অন ক্যাপিটাল সংক্রান্ত বিষয়গুলির উপরেও আরো গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তুহিন কান্ত পান্ডে ।