পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশের একটি পুলিশ স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রাদেশিক হাসপাতালের মুখপাত্র রফিক শেরজাই বলেন, দুর্ঘটনায় আহতদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, শুক্রবারের ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান বলেন, নিহতদের মধ্যে একজন আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। এছাড়া আরও ১১ জন নিরাপত্তা সদস্য ওই বিস্ফোরণে আহত হয়েছে। ওই হামলায় বাকি হতাহতরা সবাই দেশটির বেসামরিক নাগরিক। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুও রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি। হেরাতের গভর্নর সায়েদ আবদুল ওয়াহিদ কাতালি জানিয়েছেন, গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নারী এবং শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে।
ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে। কাতারে আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবানের শান্তি আলোচনা চলছে। কিন্তু এর মধ্যেও দেশটিতে হামলার ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।
নিরাপত্তা পরিষদ বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে বেসামরিক নাগরিক, আইনজীবী, সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী, মানবাধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নারীদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া বেশ কিছু হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। কিন্তু সর্বশেষ হামলা কারা চালিয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়।