গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির জন্য ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। যেসব শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে, তারা সবাই প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। এরপর প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল এবং চূড়ান্ত আবেদন শেষে আগামী ১৯, ২৬ জুন ও ৩ জুলাই গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে GST (General Science and Technology) গুচ্ছভুক্ত ২০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রথমবর্ষে ভর্তির সুযোগ পাবে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ পূর্বক প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে উল্লেখিত যে কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার শাখা (বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য) অনুযায়ী একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। দুটি পর্যায়ে আবেদন করতে হবে–প্রাথমিক আবেদন এবং চুড়ান্ত আবেদন (প্রাথমিক আবেদনের ভিত্তিতে চূড়ান্ত আবেদনের যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হলে)।
ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকায় বলা হয়, প্রাথমিকভাবে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে প্রতিটি ইউনিটে চূড়ান্ত আবেদনের জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচিত হবে। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬টি মানদণ্ড ক্রমানুসারে ব্যবহার করে প্রাথমিক আবেদনকারীদের মেধাক্রম প্রস্তুত করা হবে। প্রতিটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ দেড়লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে নির্দেশিকায় বলা হয়।
বিজ্ঞান শাখায় মেধাক্রম প্রস্তুতে ৬টি মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে– এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ; এসএসসি ও এইচএসসির মার্কস; এইচএসসির পদার্থের জিপিএ; এইচএসসির পদার্থের মার্কস; এইচএসসির রসায়নের জিপিএ; এইচএসসির রসায়নের মার্কস।
অন্যদিকে বাণিজ্য ও মানবিক শাখায় মেধাক্রম প্রস্তুতে ৬টি মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে– এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ; এসএসসি ও এইচএসসির মার্কস; এইচএসসির বাংলার জিপিএ; এইচএসসির বাংলার মার্কস; এইচএসসির ইংরেজির জিপিএ; এইচএসসির ইংরেজির মার্কস।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রাথমিক আবেদনে শিক্ষার্থীদের কোনো ফি দিতে হবে না। যে সব শিক্ষার্থী ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি/আলিম ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারাই আবেদন করতে পারবেন। ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৮.০, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.৫ এবং মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.০ থাকতে হবে। তবে প্রত্যেক শাখার বিভাগে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে।
শুধু এ বছরের জন্যই গুচ্ছ প্রদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আগামী বছর হতে পূর্ববর্তী বছরের পাস করা অর্থাৎ সেকেন্ড টাইমার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের ফলাফল ২৩ এপ্রিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানানো হবে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে যতজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে মেধার ভিত্তিতে ততজন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা জমা দিয়ে ২৪ এপ্রিল হতে ২০ মে তারিখের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীরা ১ জুন হতে ১০ জুন তারিখের মধ্যে এডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
সব পরীক্ষা নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে একযোগে বেলা ১২টায় শুরু হবে। একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৫টি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচন/চয়েস করতে পারবেন। ২০১৯ সালের পাস করা শিক্ষার্থীরা বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্র হিসেবে চয়েস বা পছন্দ করতে পারবেন না। প্রয়োজনে পছন্দ করা নির্দিষ্ট কেন্দ্রের বাইরেও পরীক্ষা দিতে হতে পারে। GST গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য ভর্তি সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট (www.gstadmission.org ও www.gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।