রোববার দেশে প্রথমবারের মতো তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কারণে এখন মানুষকে যতটা সম্ভব গণজমায়েত (পাবলিক গ্যাদারিং) এড়িয়ে চলতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ তিনি কাঁচাবাজার, বিপণি-বিতান, গণপরিবহন ও জুমার নামাজে গণজমায়েতের কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এ স্থানগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
তিনি বলেন, ইতালি ও ইরানে ধর্মীয় উপাসনালয় থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। এ কারণে এসব স্থান এড়িয়ে চলতে হবে।
ডা. তহমিনা বলেন, আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হয়ে চলাফেরা করতে হবে।
তিনি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কমিউনিটি পর্যায়ে সবচেয়ে কার্যকরী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ধোয়া। এক্ষেত্রে অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ডরাব ব্যবহার করা যেতে পারে। চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সর্দি-কাশির সময় টিস্যু পেপার ব্যবহার করতে হবে এবং ব্যবহৃত টিস্যু অনতিবিলম্বে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। টিস্যু পেপার না থাকলে হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় কনুইয়ের ভাঁজে নাক ও মুখ ঢেকে নিতে হবে। কেবল সর্দি-কাশি থাকলে মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং মাস্ক খুলে নির্দিষ্ট স্থানে অপসারণের পর সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ধুয়ে নিতে হবে। সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্তত এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, রোববার আইইডিসিআরের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির কথা জানান আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এদের মধ্যে দুজন ইতালিফেরত। একজন এদের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হন। এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এ তিনজন ছাড়াও আরও দুজনকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
তিনিও যথাসম্ভব গণজমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।