রোববার (১৪ মার্চ) দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে প্রাণহানি ঘটেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়াঙ্গুনের হ্লাইং থারিয়ার এলাকায় রোববার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছুরি ও লাঠি হাতে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর সংঘর্ষ শুরু হলে তাদের ওপর গুলি ছোড়ে নিরাপত্তাবাহিনী।
এক চীনা ব্যবসায়ীর ওপর হামলার পর এলাকাটিতে সামরিক আইন জারি করেছে জান্তা সরকার। এদিকে সেনাবাহিনীকে চীন সমর্থন দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিক্ষোভকারীরা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলে নেয় সামরিক বাহিনী। ২০২০ সালের নভেম্বরে দেশটির সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)। কিন্তু ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর থেকেই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ আনে সেনাবাহিনী।
এই অভিযোগ এনেই বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং সু চিসহ তার দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়। এরপর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মিয়ানমার। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চিকিৎসকসহ দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এদিকে বিক্ষোভ থামাতে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অপরদিকে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে লুকিয়ে থাকা রাজনীতিবিদরা ঘোষণা দিয়েছেন, সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম চলবে। তারা নিজেদের মিয়ানমারের বৈধ সরকার বলে দাবি করেছেন।