কেননা মৌসুমের এ সময়ে আমে বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা যায়। সঠিক সময়ে রোগ ও পোকামাকড় দমন করতে ব্যর্থ হলে আমের ফলন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে।
পোকা চেনার উপায়: গাছের নীচ দিয়ে হাটলে পোকা লাফিয়ে লাফিয়ে গায়ে পড়বে।
ক্ষতির ধরণ: গাছের কচি পাতা ও ডগার রস চুষে খায়। এ পোকা তাদের দেহের ওজন এর ২০ গুন পরিমান রস খেয়ে আঠালো রস দেয় যা মধুরস নামে পরিচিত এবং গাছের মুকুল, পাতা ও কান্ডে এই রস জমা হয়ে থাকে এবং যার উপর এক প্রকার ছত্রাক (শুটি মোল্ড) জন্মায়। এটি মারাত্মক ক্ষতি করে, গাছের বৃদ্ধি কমে যায়।
আক্রমণের পর্যায়: কুশি, চারা, ফলের বাড়ন্ত পর্যায়
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে: কাণ্ড , পাতা , ডগা
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে: পূর্ণ বয়স্ক , নিম্ফ
দমন পদ্ধতি
হপার পোকা অন্ধকার বা বেশি ছায়াযুক্ত স্থান পছন্দ করে, তাই নিয়মিতভাবে গাছের ডালপালা ছাঁটাই করতে হবে যাতে গাছের মধ্যে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে। আম মোটর দানাকৃতি হলেই ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলিটার হারে, সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে এক মিলিলিটার হারে অথবা ডেসিস ২.৫ ইসি নির্দেশিত মাত্রায় মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ স্প্রে করতে হবে।
আমের হপার পোকার কারণে যেহেতু সুটিমোল্ড বা ঝুল রোগের আক্রমণ ঘটে সুতরাং এই রোগ দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে দুই গ্রাম হারে সালফার জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন- থিয়োভিট, কুমুলাস অথবা অন্য নামের ছত্রাকনাশক হপার পোকা দমনের জন্য ব্যবহার্য কীটনাশকের সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।