তবে বিশ্লেষকেরা যা আশা করছিলেন, শিল্প উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি তার চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৯ সালের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্বের কারখানা হিসেবে পরিচিত চীন। বৈদেশিক চাহিদার মূল চালিকা শক্তি দেশটির রপ্তানি। করোনার সংক্রমণ এখনো থাকলেও স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে দেশে দেশে। সব মিলিয়ে চাহিদা বেড়েছে। ফলে চীনের রপ্তানি ভালো প্রবৃদ্ধি দেখেছে। বিশ্লেষকেরা আশা করছেন, ২০২১ সালে দেশটির সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হবে। অবশ্য এতটা আশাবাদী নয় চীন সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশের ওপরে।
গত বছরে করোনার মধ্যে চীন ছিল একমাত্র বড় অর্থনীতি, যেখানে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির হয়েছে। বছর শেষে চীনের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর মুখপাত্র লিউ আইহুয়া সাংবাদিকদের বলেন, অর্থনীতির পুনরুদ্ধার অব্যাহত রাখা উচিত। তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে এখনো ভারসাম্যহীনতা রয়েছে। চীনকে মানুষের ভোগব্যয় বাড়ানোর জন্য সমর্থন দিয়ে যেতে হবে।
শুধু শিল্প উৎপাদন নয়, চীনের খুচরা বিক্রয়ও বেড়েছে ব্যাপক। গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম দুই মাসে গুরুত্বপূর্ণ এই অর্থনৈতিক সূচকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ। খুচরা বিক্রয় তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গয়না (৯৯ শতাংশ) ও গাড়ির (৭৮ শতাংশ) বিক্রি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ থেকেই বোঝা যায়, নববর্ষের ছুটি উপলক্ষে বেশ খরচ করছেন ভোক্তারা।
তবে বেকারত্বের হার বেড়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষে দেশটির বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ, যা গত ডিসেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ।