গোপালগঞ্জে সূর্যমুখী ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ

গোপালগঞ্জে সূর্যমুখী ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ
গোপালগঞ্জের কৃষকেরা ক্রমশ সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদে উৎসাহী হয়ে উঠছে। জেলার ৫ টি উপজেলার সর্বত্র চাষাবাদ করা হচ্ছে এ ফুলের। মাঠে মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে ফুলের সৌন্দর্য। ভ্রমর এসে খেলা করছে ফুলে ফুলে। অনেক দূর থেকে লোকজন এসে দেখতে ভিড় করছে বিকেল বেলায়। এবার ফলন ও ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি।

ইতোমধ্যে কৃষকরা সুর্যমুখী বিক্রি করে ভালো দাম ও পেয়েছেন। এবার করোনায় কৃষকের চাষাবাদে প্রভাব পড়লেও এ অঞ্চলের সুর্যমুখী চাষে তার কোন প্রভাবই পড়েনি। বরং ভালো চাষ হওয়ায় মানুষের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করেছে।

গোপালগঞ্জের জমি নিচু হওয়ায় এখানকার জমিতে কেবল ধান ও পাট চাষে আগ্রহ ছিল এখানকার কৃষকদের। সাম্প্রতিকালে জেলার সদর উপজেলা, কাশিয়ানী, মুকসুতপুর, কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কৃষকেরা সুর্যমুখী চাষ শুরু করেছে। এ বছর এ জেলার ৬০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এরই মধ্যে কৃষক তাদের সূর্যমুখী বিক্রি শুরু করেছে।

সূর্যমুখী ফুলের এক চাষি জানান, এ ফুলের তেলের স্বাদ ভালো ও স্বাস্থের জন্য উপকারী হওয়ায় স্থানীয় বাজারে চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কৃষকেরা ব্যাপক সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদে উৎসাহী হয়ে উঠবেন।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষিবিদ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, এ বছর টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ১২০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে।আমরা কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ প্রদান করে আসছি।

 

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ভরা মৌসুমে সবজির চড়া দাম
বগুড়ায় রেকর্ড পরিমাণ সরিষার চাষ
এবার রেকর্ড পরিমাণ ডিম ছেড়েছে মা ইলিশ
১০৫ কোটি টাকার খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্য নাটোরে
বাসার ছাদে সবজি চাষের সহজ পদ্ধতি
প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য সরকারের নীতি অনেক সহায়ক
মুনাফা লোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি
কৃষিকাজে সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান
এক কাতলা মাছের দাম ৩৮ হাজার টাকা