আজ শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টার কিছুক্ষণ আগে ২৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন।এসময় বিমানবন্দরে তাকে দেওয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা। বিকালে তিনি যোগ দেবেন জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে।
জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ১০ দিনের অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য হলো ‘মুজিব চিরন্তন’। তবে প্রতিদিনের জন্য আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তৃতীয় দিনের প্রতিপাদ্য ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’।
সফরসূচি অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী আজ বেলা ১১টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন, দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করবেন এবং সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করবেন। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বিকেল ৩টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটে মহিন্দা রাজাপাকসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বল রুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজে যোগ দেবেন।
আগামীকাল সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। সেখান থেকে চলে যাবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন।
সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে দুই সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৫টায় বঙ্গভবনের ক্রেডিশিয়াল হলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি সেখানে দর্শনার্থীর বইতে স্বাক্ষর করবেন।
বিকেলে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সরাসরি চলে যাবেন বিমানবন্দরে। সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে ২৮ সদস্যের সফরসঙ্গী নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।