২৩ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় বাংলাদেশ দল। দীর্ঘ প্রায় এক মাস পর মাঠে নামতে যাচ্ছে টাইগাররা। ২০ মার্চ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে।
এতটা সময় অপেক্ষার কারণ মূলত করোনা। করোনার কারণে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে টাইগারদের। এই ১৪ দিনে এক হোটেলে থেকেও সবার এক সাথে দেখা হয়নি।
ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে নিজেদের মধ্যে খেলেছে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও। দীর্ঘদিন নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়ায় থাকায় এবার মানিয়ে নেয়ার সুযোগ হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রস্তুতিটাও খারাপ হয়নি।
অবশেষে প্রায় ২৬ দিন পরে আসল লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ। শনিবার নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় বেলা এগারটায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য অবশ্য সময়টা ‘একদমই অমিলের’। ম্যাচ যখন শুরু হবে, বাংলাদেশ সময় তখন ভোর চারটা।
তবে এই ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ উদ্দীপনার শেষ নেই। এবােই যে এতটা সময় নিউজিল্যান্ডে কাটিয়েছে টাইগাররা, খাপ খাইয়ে নিতে না পারার আক্ষেপ এবার থাকবে না।
বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবালও বেশ আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘যেহেতু এখানে (নিউজিল্যান্ডে আগের সফরগুলোতে) আমরা ভালো কিছু করতে পারিনি, তো এখন ভালো কিছু করার সুযোগ আছে। আমরা যদি সিরিজ জিততে পারি তাহলে সেটা অসাধারণ একটি অর্জন হবে।’
তামিম বলেন, ‘আমাদের মধ্যে সেই জিনিসটা রয়েছে যে, আমাদের ভালো করতে হবে। আর সবচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ, যখন আমি প্রত্যেকটা প্লেয়ারের সাথে কথা বলি তখন দেখি তারা খুব পজিটিভ। এটা খুবই ভালো। আমি যেটা বললাম এটা কাজ করতে পারে, আবার নাও পারে। তবে আমি যা বলেছি এখন আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী।’
আশাবাদী টাইগার দলের হেড কোচ হয়ে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়া রাসেল ডোমিঙ্গোও। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ। বাংলাদেশের অন্যান্য দল আগে যা করতে পারেনি, এবার তা করে দেখানোর। আমরা সবাই মুখিয়ে আছি।’
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এখন পর্যন্ত স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের দেখা পায়নি টিম বাংলাদেশ। এবার শুধু জয় নয়, সিরিজ জয়ের কথাও ভাবছে টাইগাররা। এখন মাঠের লড়াইয়ে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেই হয়!