কারণ দলে এক ঝাঁক নিখুঁত পেসার নিয়ে কখনো দেশটিতে যায়নি বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডের ঘাসে ভরা সবুজ পিচে আগুণ ঝরাতে প্রস্তুত আছেন অভিজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদদের সঙ্গে তরুণ তুর্কি হাসান মাহমুদ কিংবা শরিফুল ইসলাম। যারা সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের প্রমাণ করেছেন।
তাদের নিয়ে জয়ের স্বপ্ন বুনছেন অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে যাওয়া তামিম ইকবাল। মুখিয়ে আছেন পেসারদের সেরা পারফরম্যান্স দেখার জন্য।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) তামিম বলেন ‘আমাদের এবার নিখুঁত পেস বোলিং অ্যাটাক রয়েছে। আমি মুখিয়ে আছি তারা কেমন পারফরম্যান্স করে দেখার জন্য। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো বোলিং বিভাগ। আমি আসলে আমাদের নতুন পেসারদের নিয়ে বেশ আশাবাদী। তারা কঠোর পরিশ্রম করছে। নেটে বলেন, প্রস্তুতিতে বলেন, ওরা ভালো বল করেছে। আমি খুব আশাবাদী, ওরা ভালো করবে।’
এবারের বাংলাদেশ স্কোয়াডে অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনসহ পেসার আছেন ৭ জন। মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদের মত ৬ জন জেনুইন (নিখুঁত) পেসারের সঙ্গে আছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেলে গড়া পেস আক্রমণ এনে দিতে পারে প্রথম জয়; গড়তে পারে নতুন ইতিহাস। তাই অধিনায়ক-কোচ হতে শুরু করে সবার মুখেই প্রথম জয়ের প্রত্যাশা।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পেসারদের নিয়ে তামিম আশা দেখিয়েছেন গতকালও। ‘আমাদের পেস বোলিং আক্রমণ হয়তোবো আগে যতবার এসেছি তার চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। ভালো অবস্থায় আছে অবশ্যই। পাশাপাশি ভালো করাও লাগবে কিন্তু এতটুক বলতে পারি যে এখন যে গ্রুপটা আছে পেস বোলারদের তারা খুবই ভালো।’
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহীম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদি হাসান, রুবেল হোসেন, নাসুম আহমেদ।