রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) চুক্তির আওতায় থাকবে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ বাণিজ্য ও জনসংখ্যা। জাপান সরকার ধারণা করছে, এর ফলে তার দেশে অন্তত ৫ লাখ ৭০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
২০১৯ অর্থবছরে জাপানের মোট দেশজ উৎপাদনের (ডিজিপি) দিক থেকে দেখলে, আরসিইপি চুক্তিতে জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার অংশগ্রহণের ফলে মোট জিডিপি বাড়বে প্রায় ১৪ হাজার কোটি ডলার।
ফলে আরসিইপি চুক্তির পর অর্থনৈতিক যে প্রবৃদ্ধি হবে, তা সরকারের আগের হিসাব থেকে বেশি। তাই একথা স্বীকার করতে হবে যে ১৫ দেশের স্বাক্ষরিত এ চুক্তি জাপানের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, জাপানের প্রায় ৪৬ শতাংশ বাণিজ্য চুক্তিটির আওতায় পড়ে যাবে। ১১ সদস্যের টিপিপি চুক্তির ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ছিল ১৫ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে করা চুক্তির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ছিল ১২ শতাংশ।
গত নভেম্বরে স্বাক্ষরিত আরসিইপি চুক্তি অনুযায়ী, জাপানের ৯১ শতাংশ পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক কমছে। বিনিয়োগ, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ও ই-কমার্সের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের সরবরাহ চেইনে শৃঙ্খলা ফিরেছে এবং তা ব্যবসার জন্য আরো কার্যকর হয়েছে।