বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের স্বাক্ষরের পর এ রায় প্রকাশিত হয়।
রোববার (২১ মার্চ) রিটকারীদের আইনজীবী রেজা-ই-রাব্বী রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পদোন্নতি বঞ্চিত না হলে এসব কর্মকর্তার মধ্যে ৩৭ জন সচিব, একজন অতিরিক্ত সচিব ও একজন যুগ্ম সচিব হতেন।
গত বছরের ১ নভেম্বর স্বাধীনতার পর প্রথম বিসিএসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নিয়োগ দেওয়া ৩৯ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ৩৯ জন কর্মকর্তা বর্তমানে অবসরে রয়েছেন।
তাদের করা ৩টি রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ সে সময় এ রায় দেন।
ওইদিন রায়ের পরে আইনজীবী রেজা-ই-রাব্বী সাংবাদিকদের বলেন, এই ৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৯৮ সালে তাদের পদোন্নতির জন্য একটি নীতিমালা করা হয়। এ নীতিমালার আলোকে পদোন্নতি পেয়ে তাদের কেউ কেউ যুগ্ম সচিব পর্যন্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০০২ সালে নতুন একটি বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এটি করাই হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে ২০১১ সালে এ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলা আপিল বিভাগ পর্যন্ত যায়। সে মামলার রায়ে আপিল বিভাগ বলে দিয়েছিলেন ২০০২ সালের বিধিমালা মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। আর ২০০২ সালের বিধিমালা অনুযায়ী যাদের পদোন্নতি বঞ্চিত করে কনিষ্ঠদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, সেসব কনিষ্ঠদের পদোন্নতি পাওয়ার তারিখ থেকে বঞ্চিতরা প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পাবেন।
এরপর ২০১৩ সালে বঞ্চিত ওই ৩৯ কর্মকর্তা ২০০২ সালের বিধিমালা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক ৩টি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ১২ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে আজ সে রুল যথাযথ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।