তিনি বলেন, এটা সেলিব্রেশন মাস, এ মাসে জনতা ব্যাংকের ব্যালেন্স শিটে রিফ্লেকশন নেই এটা আশাব্যঞ্জক নয়। জনতা হোক জনতার, এ মাসে আমাদের শপথ হোক আয় বাড়ানোর, অপচয় ও দুর্নীতি কমানোর।
আজ রোববার (২১ মার্চ) জনতা ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে তৈরি ‘মুজিব কর্নার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাস আমাদের আস্থার মাস, অর্জনের মাস, বিশ্বাসের মাস। এ মাসে জাতির পিতার জন্ম, এ মাসে আমরা গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছি। এ মাসে জাতির পিতা ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, যা বিশ্বের সর্বকালের সেরা ভাষণ।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু এখনও আমাদের পথ-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আমাদেরকে ভৌগোলিক মুক্তি দিয়েছেন, এখন আমরা তার দেখানো পথেই অর্থনৈতিক মুক্তি পেয়েছি। বিশ্বাস, আস্থা ও অর্জনের মাসে আমাদের শপথ হোক এগিয়ে যাওয়ার।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, জাতির পিতার দেওয়া নাম জনতা ব্যাংক। এ ব্যাংককে হতে হবে জনতার, এজন্য আরও কাজ করতে হবে। মূলধন ঘাটতির দিকে নজর দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া প্রণোদনা বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও এসএমই ঋণদানে আরও অবদান রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের স্বাধীনতার ও অর্থনৈতিক মুক্তির ভাষণ। অনেকে ভুল করে বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ বঙ্গবন্ধু। কিন্তু বাস্তবে তিনি হাজার নয়, ‘সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’।
বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা সব দিক থেকে ভালো অবস্থানে নেই, তবে এখন সবগুলো ওভারকাম করতে চাই। বলতে দ্বিধা নেই, আমরা খেলাপি ও ক্ষুদ্র ঋণে অনেক পিছিয়ে আছি। গত এক বছরে কোভিড-১৯ আমাদের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
জনতা ব্যাংকের এমডি ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।