আজ (২২ মার্চ) বিশ্ব পানি দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘ভ্যালুয়িং ওয়াটার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘বিশ্ব পানি দিবস ২০২১’ পালিত হচ্ছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিবছর দিবসটি পালিত হচ্ছে।
পানি দিবস পালনে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচিগুলো টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা প্রদানসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও পানি দূষণ কমাতে সক্ষম হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। সেই সঙ্গে পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ সংস্থাগুলো কাজ করে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘মানুষের জন্য পানি, প্রকৃতির জন্য পানি এবং উন্নয়নের জন্য পানি’ এই সত্যকে উপলব্ধি করতে হবে। পানির গুরুত্ব অনুধাবন করে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
যেভাবে এলো পানি দিবস: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিবছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও’তে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানি সম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং এরপর থেকে এ দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে।
জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো দিনটিকে নিজ নিজ রাষ্ট্রসীমার মধ্যে জাতিসংঘের পানিসম্পদ সংক্রান্ত সুপারিশ ও উন্নয়ন প্রস্তাবগুলোর প্রতি মনোনিবেশের দিন হিসেবে উৎসর্গ করে। প্রতিবছর বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা বিশেষ কর্মসূচি পালন করে থাকে।