সোমবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে ‘জেন্ডার রেসপন্সিবল পুলিশিং : অ্যান অ্যাপ্রোচ অব বাংলাদেশ পুলিশ’ শীর্ষক বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একসময় দারিদ্র্য, অসুখ, নারীদের অশিক্ষা ছিল আমাদের নিত্য সহচর। মানুষের বিভিন্ন সমস্যা ছিল। অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। আজ দেশ কোথায় এসেছে? এ যাত্রা সহজ ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে এ উন্নয়নের পেছনে আমাদের শ্রম, ঘাম রয়েছে, প্রতিজ্ঞা, প্রত্যয় রয়েছে। দেশের মানুষ অহর্নিশ পরিশ্রম করেছে। সেই সাথে নারীরা পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা অনেক দূর এসেছি, আমাদের যেতে হবে বহুদূর। আমাদের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। ২০০০ সালের পরে যাদের জন্ম তারা এদেশের অনেক ইতিহাস চোখে দেখিনি।’
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় বাস্তবায়নে নারী-পুরুষ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’ ‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতের সম্মিলিত প্রয়াসে আমাদের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। ২০৪১ সালে ধনী দেশে পরিণত হওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে ‘সোনার বাংলার’ গর্বিত বন্দরে উপনীত হতে হবে। ‘এখন থেকে পুলিশে নিয়োগের সংখ্যা নয়, যোগ্যতা নিশ্চিত করা হবে। সেই সাথে নারী পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগে আলাদা নিয়োগ দেওয়া হবে।’
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশে নারী পুলিশের সংখ্যা ৭ শতাংশ। জাপানেও ৭ শতাংশ। সুইডেনে ৯ শতাংশ। ২০১৫ মধ্যে ১১ শতাংশ করতে চেয়েছিলাম, হয়নি। তবে শিগগিরই তা হবে।’
বাংলাদেশে নারী পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধিতে পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ককে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ডকুমেন্টারি দেখাতে হবে। এতে করে শিক্ষার্থীরা নারী পুলিশের প্রতি আরও বেশি আগ্রহী হবে।