সোমবার (২২ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
অং থুরা বিবিসির বার্মিজ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ওইদিন আদালতের সামনে থেকে তার সঙ্গে থান টিকে অং নামে আরও এক সাংবাদিককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি মিয়ানমারের স্থানীয় গণমাধ্যম মিজ্জিমার হয়ে কাজ করতেন। মিয়ানমারের জান্তা সরকার যে পাঁচটি সংবাদমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করেছে তার মধ্যে মিজ্জিমা একটি।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গত ১ ফেব্রুয়ারি এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সা সু চি নেতৃত্বাধীন দেশটির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চল্লিশ জন সাংবাদিক গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া সামরিক জান্তা সরকার দেশটির পাঁচটি সংবাদমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে।
রিপোর্টার অং থুরার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ অভিহিত করে তাৎক্ষণিক এক বিবৃতি দিয়ে বিবিসি তাকে খুঁজে বের করার জন্য সরকারি কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছিল। বিবিসির এই আহ্বানের তিনদিন পর তাদের বার্মিজ বিভাগের সাংবাদিক অং থুরাকে ছেড়ে দেওয়া হলো।
সোমবার বিবিসির পক্ষ থেকে রিপোর্টার অং থুরার মুক্তির কথা নিশ্চিত করা হলেও তাকে কে বা কারা ধিরে নিয়ে গিয়েছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তার অবস্থানও জানায়নি। এছাড়া তার সঙ্গে মিজ্জিমার যে সাংবাদিক গ্রেফতার হয়েছিলেন তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কিনা এ ব্যাপারেও কিছু জানায়নি বিবিসি।