তথ্য অনুযায়ী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী আকাশ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠা করেন। বাণিজ্যিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৩ জুলাই বিমানকে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয়, যা সম্পূর্ণভাবে সরকারি মালিকানাধীন। এটি ১৩ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হয়।
এই ৫০ বছরে বিভিন্ন দেশের ১৯টি শহরে ডানা মেলেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গন্তব্য। এর মধ্যে একটি গন্তব্য ইউরোপ মহাদেশে। বাকিগুলো এশিয়া মহাদেশেই সীমাবদ্ধ। জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বর্তমানে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত, নেপাল, ওমান ও মিয়ানমারের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। চলতি বছর বিমান পৃথিবীর আরও ৭ দেশে ফ্লাইট চালু করতে চায়। তন্মধ্যে কানাডা, আমেরিকা, জাপান, সাউথ কোরিয়া ও চীন রয়েছে।
বর্তমানে বিমান বহরে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, ২টি বোয়িং ৭৮৭-৯, ৬টি বোয়িং ৭৩৭ ও ৫টি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ আছে। বিমান বহরে মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা ২১টি। তন্মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, ৪টি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিম লাইনার, ৪টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিম লাইনার, ৬টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৩টি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ। এর মধ্যে বিমানের নিজস্ব ১৬টি ও বাকি ছয়টি লিজে আনা।
জানা গেছে, স্বাধীনতার পর দীর্ঘ কয়েক দশকই বিমান লোকসানে ছিলো। বিমানের উন্নয়নেও কোনো সরকার তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিমানকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সরকারের আমলেই ১২টি উড়োজাহাজ কেনা হয়। প্রধানমন্ত্রী বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় এতো উড়োজাহাজ কেনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে বিমানের বহর যেকোনো সময়ের তুলনায় তারুণ্যদীপ্ত। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়ার সেরা ১০টি এয়ারলাইন্সের একটি হিসেবে বিশ্বমান অর্জনের রূপকল্প সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।