সোমবার (২২ মার্চ) অনুমতির এই চিঠি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ১৭ মার্চ ১৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ১৭ হাজার টন ভাঙা চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রথম ধাপে বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি পর্যায়ে সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১০ লাখ ২০ হাজার টনের সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমতি দেয়। কিন্তু বেশিরভাগ চাল এখনও বাজারে আসেনি। এর মধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি খুলতে ব্যর্থ হয়েছিল, তাদের চাল আমদানির অনুমতি বাতিল করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আর বাকিদের বরাদ্দের চাল আমদানির করে বাজারজাতের সময় বেধে দেয়া হয়েছে আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত। এখন নতুন করে আবার আমদানির জন্য বরাদ্দ দিচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
নতুন করে ৫৩ হাজার টন ভাঙা চাল শর্তসাপেক্ষে আমদানির জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে এলসি খুলতে হবে। এলসি খোলা সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে। বরাদ্দপ্রাপ্ত আমদানিকারকদের ২৫ এপ্রিলের মধ্যে পুরো চাল বাজারজাত করতে হবে।
এছাড়া, বরাদ্দে অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) জারি বা ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করে বাজারজাত করা যাবে না। প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এসি খুলতে না পারলে বরাদ্দ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে বলে শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার।