মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আয়োজিত “স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আলোকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের অর্জন ও সম্ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল৷ এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী খাত শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।
বিএসইসি’র চেয়াম্যান বলেন, করোনা আইটি খাতের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়ে গেছে। আইটি ছাড়া ভবিষ্যতে চলাচল করা অসম্ভব। তাই দেশের পুঁজিবাজারকে পুরোপুরিভাবে আইটিতে রুপান্তর করতে হবে। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। এছাড়া যারা গুজব ছড়িয়ে কম দামে শেয়ার হাতিয়ে নিতে চান, সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের আইটি কাঠামো গঠনের জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা এজন্য অনুদান দিতে সম্মত হয়েছে। হয়তো সেটা কয়েক মাসের মধ্যে পেয়ে যাবো।
বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আইসিবিকে শক্তিশালী করা দরকার বলে তিনি জানান, এরইমধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই প্রতিষ্ঠানটির পুঁজিবাজারে অনেক গুরুত্ব। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এটি গঠন করা হয়েছে, সেখান থেকে প্রতিষ্ঠানটি অনেক দূরে।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে শুধুমাত্র ইক্যুইটি মার্কেট নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কমিশন।
পুঁজিবাজারে দূর্বল কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে নিতে কমিশন কাজ করছে জানিয়ে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ওটিসি মার্কেটে অনেকগুলো কোম্পানি রয়েছে। কমিশনের উদ্যোগে এরইমধ্যে ৪টি সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে। এছাড়া অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি এই পথে রয়েছে।